উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯/১০/২০২৪ ২:৩৭ পিএম , আপডেট: ১৯/১০/২০২৪ ২:৩৮ পিএম
  • মাদরাসার টাকায় নিজ নামে সম্পদ ক্রয়
  • প্রতিবাদী শিক্ষকদের অমানবিক নির্যাতন
  • এতিম ছাত্রীদের গৃহকর্মী হিসেবে ব্যবহার
  • ১১ শিক্ষক নিয়োগ নিজ পরিবার থেকে 

কক্সবাজারের আদর্শ মহিলা কামিল মাদরাসার  সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে মাদরাসার সম্পদ লুট, এতিমখানার বিপুল অর্থ আত্মসাৎ, পদোন্নতি ও নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে হয়রানি নির্যাতন সহ অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে । এব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকরা।

<
উক্ত মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের অভিযোগ- প্রতিষ্ঠানটির সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ ও পলাতক স্বৈরাচার আওয়ামী দোসর ফরিদ আহমদ চৌধুরী স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজ পরিবারের সদস্যদের উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে বিনা বাধায় লুটপাট চালিয়ে আসছে। ২০২৩ সালের ২ জুন অধ্যক্ষ ফরিদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও টানা দেড় বছর ধরে তিনি গায়ের জোরে অনেকটা স্বৈরাচারীর মতো গেঁড়ে বসে ছিলেন। এসময় তিনি মাদরাসা কম্পাউন্ডে ব্যাক্তিগত স্থাপনা নির্মাণ ও বসতি স্থাপন করে মাদরাসার জমি দখল করে নেন এবং পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এছাড়াও তিনি বেআইনী ভাবে স্বপদে বহাল থেকে উক্ত কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষক কর্মচারীরাও। ২০২৩ সালের শিক্ষক কর্মচারীর তালিকাটি যাচাই করে দেখা গেছে ৩৬ জনের মধ্যে ১১ জনই ফরিদ আহমদ চৌধুরী আত্মীয়-স্বজন। এমনকি নিজের স্ত্রীকে দেখিয়েছেন সহকারী লাইব্রেরিয়ান হিসেবে।

অভিযোগ উঠেছে- এতিমখানার শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ফরিদ আহমদ চৌধুরী। এতিমদের দিয়ে নিজগৃহে গৃহকর্মীর কাজও চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদরাসার সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা সম্পত্তি ক্রয় করেছে নিজের নামে। এতিমখানার ২০২২ সালের একটি নথি থেকে জানা যায়- সাইয়্যেদিয়া বালিকা এতিমখানার উপার্জিত কমপক্ষে এক কোটি টাকা অস্থিত্বহীন প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিভিন্ন ভাবে অনুসন্ধান চালিয়েও বিনিয়োগকৃত প্রকল্পের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করলে তার ওপর নেমে আসে বর্বরোচিত নির্যাতন ও হয়রানি। পরিণতির ভয়ে চুপ থাকেন সকলেই। ফলে অনেকটা বিনা বাধায় একচ্ছত্র আধিপত্যের মাধ্যমে মাদরাসাকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদ। তিন দশকের কাছাকাছি মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে বহাল থেকে ইচ্ছেমতো দু-হাতে মাদরাসার টাকা নিজের পকেটে ভরেছে। ক্ষমতার পালা বদলের সাথে সাথে বদলে যায় ফরিদ আহমদ চৌধুরীর চেহারা। আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা এবং বিএনপি সরকারের আমলে নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুরোদমে লুটতরাজ চালিয়েছে।

লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়- অধ্যক্ষ ফরিদুল আলম চৌধুরী প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ১৯৮৯ সাল থেকে মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ২ জুন অবসরে যান। অবসরে গেলেও তিনি আইনকে তোয়াক্কা না করে মাদরাসা ক্যাম্পাসে বসতি গডে অবৈধভাবে অবস্থান করেন। অবসরের সময় তারই আস্তাভাজন হিসেবে পরিচিত উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক আওয়ামীলীগ নেতা ড. নুরুল আফসারকে ছয় মাসের জন্য অধ্যক্ষ পদে ভারপ্রাপ্ত করেন। পরবর্তীতে তার সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন মিল না হওয়ায় তাকে সরিয়ে অপর আস্তাভাজন হিসেবে পরিচিত শিক্ষক আমানুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন। তবে অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ চৌধুরী মাদরাসা ক্যাম্পাসের জায়গা দখল করে দালাল নির্মাণ করে সেখানেই থেকে যান। এতিমখানার কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সময়ে অসময়ে মাদরাসা থেকে ডেকে নিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করান। পাশাপাশি উক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক যৌন হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিনের। মাদরাসার বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবকরা তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শেষ সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা একত্রিত হয়ে অভিযোগগুলো বিবেচনা করে গত ৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থী অভিভাবকরা অধ্যক্ষকে মাদরাসা ক্যাম্পাস থেকে বের করার আন্দোলনে নামে। তীব্র আন্দোলনের মুখে স্থানীয় প্রশাসন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা তাকে মাদরাসা ক্যাম্পাস থেকে বের করে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের তুমুল আন্দোলনের মুখে মাদরাসা ক্যাম্পাস ছাড়লে শেষ হয় দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর অধ্যায়।

এদিকে দীর্ঘ ৩৬ বছর যাবত মাদরাসার সম্পত্তিকে নিজের সম্পদ মনে করে ব্যবহার করে আসছিলো অধ্যক্ষ ফরিদ। মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ সৈয়দিয়া বালিকা এতিমখানার টাকা দিয়েই গড়ে তুলে ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড়। মাদরাসার উন্নয়নের জন্য কানাকড়িও ব্যবহার না করলেও উক্ত ফরিদ আহমদ চৌধুরী মাদরাসা ও এতিমখানার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন ব্যক্তিগত অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ। এর মধ্যে রয়েছে ঝিলংজা মৌজার কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ভবনের পূর্ব পাশে ৯ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন এক একর ৮২ শতক জায়গা। জায়গাটি চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাব কবলামুলে অধ্যক্ষ নিজের নামে ক্রয় করেন। এছাড়াও রামুর কচ্ছপিয়া মৌজার ৭ একর চল্লিশ শতক জায়গা ক্রয় করেন ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে। মাদরাসা ও এতিমখানার টাকা দিয়ে নিজের নামে ক্রয় করেন ইনানী মৌজায় দুই একর ৪ শতক আর্থিক মূল্য ১ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা। শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করেন এক কোটি ৫০ লক্ষ টাকার। পৌরসভা মৌজার পেতা সওদাগর পাড়ায় চল্লিশ শতক জায়গা ক্রয় করেন ৫০ লক্ষ টাকায়। উক্ত জায়গাগুলো দৃশ্যমান হলেও তার বিরুদ্ধে আরও অন্তত তিন কোটি টাকার জায়গা রয়েছে যেগুলো মাদরাসার নামে ক্রয় করলেও ব্যক্তিগতভাবে তিনি ব্যবহার করেন এবং অবৈধ ভোগ দখল করে আছেন। এছাড়াও মাদরাসার জন্য দানকৃত জমি নিজের নামে খতিয়ান করে নিতেও দেখা গেছে ফরিদ আহমদ চৌধুরীকে।

উক্ত মাদরাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ সৈয়দিয়া বালিকা এতিমখানায় ১২৭ (একশত সাতাশ জন) শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত হলেও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত করা হয় নামে বেনামে ১৫০ জন শিক্ষার্থী। সমাজসেবা অধিদপ্তর বছরে দুইবার করে অর্থাৎ ছয় মাস অন্তর জনপ্রতি ২০০০ টাকা করে এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও উক্ত বিপুল টাকা মাদরাসার একাউন্টে জমা না করে ২৩ জন অতিরিক্ত শিক্ষার্থীর টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন—

এস আলমের অর্থপাচারে প্রায় দেউলিয়া ৬ ব্যাংক

মাদরাস রয়েছে নিজস্ব ১৩টি দোকান। উক্ত দোকান ভাড়া দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এক কোটি ২০ লক্ষ টাকা সালামি হিসেবে গ্রহণ করলেও একটি টাকাও জমা করেনি মাদরাসার একাউন্টে উক্ত অধ্যক্ষ। ১৩টি দোকানের মাসিক ভাড়ার গড়ে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা হলেও কোন টাকাই মাদরাসার একাউন্টে জমা দেয়নি অধ্যক্ষ ফরিদ। মাদরাসার টাকায় অধ্যক্ষ নিজের নামে ৫০ লক্ষ টাকায় গাড়ি কিনে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন। অবাক করা ব্যাপার হলো মাদরাসার গাড়ি ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে গাড়ি চালকের জন্য প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা, গাড়ির তেল খরচ বাবদ প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা মাদরাসা থেকেই উক্ত টাকা নিয়ে খরচ করে আসছে অধ্যক্ষ। মাদরাসার বিভিন্ন বিল ভাউচার করে ড্রাইভার এবং গাড়ির তেল খরচ বাবদ উক্ত খরচ দেখিয়ে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। যদিও মাদরাসার টাকায় কেনা গাড়িটি ৩৬ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে মাদরাসার একাউন্টে কোন টাকায় জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে—অভিযুক্ত অধ্যক্ষ একজন সিরিয়াল রেপিস্ট ও ক্রিমিনালকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টগুলো পুড়িয়ে ফেলেছেন। পঞ্চম শ্রেণীর এতিম শিক্ষার্থী শেফা আক্তারসহ তিন-চার জন শিশু ছাত্রীকে গৃহকর্মীর কাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরিদ চৌধুরী মাদরাসার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে নিজের পরিবারের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করে আসছে ২০১৪ সাল থেকে। মাদরাসার শ্রেণী সংকট থাকার কারণে বাসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বারবার তাগাদা দেওয়া হলে উল্টো উক্ত শিক্ষকদেরকে নানাভাবে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও উক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন আটকে রাখা ও ইচ্ছাকৃতভাবে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তশরুপ করা। নিজেকে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা দাবি করে শিক্ষকদেরকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে দমিয়ে রাখে অধ্যক্ষ ফরিদ। মাদরাসায় একাধিক শিক্ষক হাজিরা তৈরি করে পছন্দসই শিক্ষকদের মূল খাতায় নাম তুলে অন্য শিক্ষকদের চাপে রাখতে নানা কৌশল অবলম্বন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উক্ত অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ হয়েছে। তার মতের বিরুদ্ধে গেলে শিক্ষকদের ওপর নেমে আসতো মানসিক নির্যাতন। তার নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি সাবেক আরবি প্রভাষক নূর মোহাম্মদ, আরবি প্রভাষক আল মাহমুদ, পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক আব্দুর রহিম। এবং নৈশ প্রহরীকে বেদম প্রহার করার কারণে উক্ত প্রহরী মহিউদ্দিন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে, যেটি এখনো চলমান। এছাড়াও সাবেক শিক্ষক মাহফুজা, মাওলানা ইসমাইল, মাওলানা আব্দুল মান্নানকে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ফরিদ আহমদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে, অভিযুক্ত সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ চৌধুরী প্রতিবেদককে মোবাইলফোনে জানান—কোথা থেকে কি হয়ে গেলো তিনি বুঝতে পারছেন না। আমার বিরুদ্ধে হঠাৎ অভিযোগের পাহাড় হয়ে গেলো। আমার বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার হচ্ছে। সম্ভব হলে এই মিথ্যাচার রুখে দিতে সহযোগীতা করেন। আমার বিরুদ্ধে যদি তথ্য প্রমাণ থাকে তাহলে নিউজ করে দিতে পারেন।

আরও পড়ুন—

এব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান—আদর্শ মহিলা মাদরাসার সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ আহমদ চৌধুরীর বিষয়ে লিখিত অভিযোগটি হাতে এসেছে। এটি আমলে নেওয়া হয়েছে।  এখন তদন্তের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঢাকা থেকে যখনই অনুসন্ধান টিমের অনুমোদন দেওয়া হবে তখনই মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান শুরু হবে।

অন্তহীন অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ চৌধুরী মাদরাসা এবং এতিমখানার টাকাকে ব্যক্তিগত সম্পদ বানিয়ে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তৎকালীন সময়ের প্রশাসনের সাথে তার দহরম মহরম সম্পর্ক থাকার কারণে মুখ খুলতে সাহস পাননি কেউই। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ভুক্তভোগী শিক্ষকরা সোচ্চার হয়েছেন অধ্যক্ষ ফরিদের অবৈধ আয় এবং শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে। এতিমখানা ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে অর্ধশত কোটি টাকার জায়গা জমি কিনে আয়েশী জীবনযাপনকারী দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারী ও অভিভাবকরা। ওপরোক্ত অভিযোগগুলোর সুস্পষ্ট তদন্ত পূর্বক দুর্নীতিবাজ স্বেচ্ছাচারী, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সর্বস্তরের মানুষের। সূত্র ঢাকা মেইল

পাঠকের মতামত

মোটরসাইকেল-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ: প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম আহম্মেদ (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ...